ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ ১৫ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য একটি বড় দিন।এই দিনে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে চালু হলো বহুল প্রত্যাশিত কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব। মুজিববর্ষ উপলক্ষে হাসপাতালের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ল্যাব উদ্বোধন করেন।বিশেষ কথা হলো মেডিক্যাল, ইন্টারভেনশন ও সার্জারি ধরনের সেবা মিলবে এই ক্যাথল্যাব থেকে।এটা অনেক আনন্দের এবং এই সুবাদে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।কিন্তু এত দিন যার পরিচালায় এই স্বনামধন্য হাসপাতালটি মাথা উচু করে রোগীদের সেবা দিয়ে গেল যার সততা ও পরিশ্রমে হাসপাতালের সব অনিয়ম ও দূর্নীতি জাল থেকে মুক্ত হয়ে একটি পরিস্কার জনবান্ধব হাসপাতালে রুপনিয়ে ছিল এই কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব উদ্বোধনে যার থাকার কথা সবার প্রথম । কিন্তু তিনি ছিলেন না এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।কিন্তু কেন, এমন প্রশ্নে উত্তর মিললো তার ফেইসবুকে।কি লিখেছেন তিনি –
আসসালামুআলাইকুম
প্রিয় ময়মনসিংহ বিভাগ বাসী,
আজকের এই দিনটিতে আমি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকিনি কারণ,আমাদের হাসপাতাল ও কলেজের অধিকাংশ ডাক্তারদের কাছে যারা শিক্ষাদীক্ষায় অনেক বড় দাবি করেন তাদের শিষ্টাচার ও সৌজন্যতায় তারা এতটাই দরিদ্র যে,তারা আমাকে স্বাভাবিক শিষ্টাচারটুকু দেখাননি বলেই আমি আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকিনি।আমার জীবনে প্রয়োজন সামান্য আত্মমর্যাদাবোধকে সবচেয়ে উপরে রাখি।এ শহরের সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসেন উপলব্ধি করি।আমার প্রিয় প্রাঙ্গণে আমাকে অনেকে পছন্দ করেনা না।আমি কাজ করে গেছি চার বছর চার মাস আল্লাহর ভয়ে।
কিন্তু আপনারা (আমার প্রাঙ্গণের বড় বড় অধ্যাপক বৃন্দ)আমাকে সম্মান না করলেও আমার তাতে কোন সমস্যা ছিল না; কিন্তু অসম্মান করার অধিকার আপনাদেরকে আমি দিইনি।আমি হতে পারি সেনাবাহিনীর বা আপনাদের জেলার না।তারপরও জনগণ যতদিন চাইবে আল্লাহ আপনি আমাকে ততদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বে রাখুন।আমি অতি সাধারণ, তেমন বড় বড় ডিগ্রি নেই।কিন্তু সাধারণ মানুষের অসাধারণ দোয়ার মধ্যে বেঁচে থাকতে চাই।
বিনীত
পরিচালক
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল