ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর আবুল কাশেম,ভাগিনা সাইফুল ইসলাম, ও নোমান আকন্দের বিরুদ্ধে পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল এবং প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিরীহ একটি পরিবার। মঙ্গলবার (২২শে মার্চ) দুপুর ১২টায় উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের সিডষ্টোর বাজারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর ইন্ধনেই জবর দখলকারী চক্রটি জবর দখলে মেতে উঠেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী হবিরবাড়ী এলাকার রমজান ডিলারের পুত্র শরিফুল ইসলাম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার বসত বাড়ী সংলগ্ন পৈত্রিক সুত্রে মালিকানাধীন ও সাব কবলা দলিল মুলে হবিরবাড়ী মৌজার ১৭৮ খতিয়ানের ৯নং দাগে ৩৭শতাংশ জমি দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগ দখল করে আসছি। শরিফুল জানায়-উক্ত মৌজায় ৮১শতাংশ জমি নিয়ে নোমান আকন্দের পিতার তার বাবা রমজান ডিলারের মাঝে বিরোধ ছিলো যা বিগত ২০১১ সালে সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তি হয়। পরবর্তীতে নোমান স্থানীয় ভূমিদস্যুদের সহযোগিতাতায় উক্ত জমি ফের বেখলে নিতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও পায়তারায় লিপ্ত হয় অথচ কাগজ পত্রে তার নাম পর্যন্ত নেই। কিন্তু আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে তার অংশ আছে বলে দাবী করলে তাহাকে বার বার তাগিদ দেয়া স্বত্তেও প্রমান স্বরূপ সে কোন কাগজ পত্র উপস্থাপন করতে পারেনি। তারপরও এই জমি অবৈধ দখলে নেওয়ার লক্ষে আমাদেরকে খুন জখম সহ বিভিন্ন হুমকি ধমকিও দেয়।বর্তমানে তাদের হুমকিতে শরিফুল ইসলাম তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীণতায় ভূগছে বলেও দাবী করেন। সন্ত্রাসী ভাড়া করে গত ১৪ই মার্চ রাতের আধারে উক্ত জমি দখলে নিতে আব্দুল কাশেমের নেতৃত্বে মহড়া চালায়। পরে ৯৯৯ এ কল দিয়ে এর প্রতিকার পায় তারা।তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও চক্রটি পুলিশের সামনেই শরিফুল ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে।তবে এব্যাপারে থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলেও থানা পুলিশ তাদের অভিযোগ আমলে নেয়নি বলে অভিযোগ শরিফুলের।পরে জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ থানা থেকে শুরু করে সকল জায়গায় তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলছেন বলে অভিযোগ করে শরিফুল ইসলাম বলেন- বর্তমানে আবুল কাশেমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহীনীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে তাকে নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর ফলে সে তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। শরিফুল জানান- এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আমি অত্র সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সহায়তায় উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ভালুকা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামাল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক জানান- এব্যাপারে তার কাছে অভিযোগ নিয়ে যায়নি। ওসি বলেন- উক্ত ঘটনার ব্যাপারে কেহ আমার কাছে অবিযোগ নিয়ে আসেনি,তবে যদি আসে তাহলে অপরাধী যাহারাই হউক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর কাছে জানতে চাইলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি বলে তার বক্তব্য জানা যায়নি।