ভারত ও চিনের চির শত্রুতার আরো একটি ক্ষেত্র সামনে চলে আসছে আর তা হলো ব্রহ্মপুত্র নদ। ভারতের দাবি ব্রহ্মপুত্র এবং শতদ্রু নদীর পানিপ্রবাহ সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিল্লী কে দিচ্ছে না বেজিং।এখনো এটি নিয়ে বড় কোন সমস্যা না হলেও ভারতের আশঙ্কা, আস্থার এই চিড় থেকে অচিরেই বড়মাপের কূটনৈতিক ফাটল তৈরি হতে পারে।
চিনের সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশের চুক্তি অনুযায়ী, ১৫ মে থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে প্রতি মাসে হাইড্রোলজিক্যাল পরিসংখ্যান ভাটিতে থাকা বাংলাদেশ এবং ভারতকে দেবে চিন। যা বন্যার পূর্বাভাসে এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রের খবর, এই তথ্য নিয়মিত ভাবে বাংলাদেশকে দেওয়া হলেও, ভারতকে অন্ধকারেই রেখেছে বেজিং। অথচ গত বর্ষায় ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বন্যার ফলে ভেসে গিয়েছিল আসাম। রাজ্যের ২৯ টি জেলা পানিবন্দি থেকেছে, মারা গিয়েছে ১৬০ জন। তখনই ভারতের পররাস্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, চাওয়া সত্ত্বেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিপ্রবাহ সংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছে না বেজিং। এদিকে চিনের পররাস্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র গেং শুয়াং গত সপ্তাহে বলেছেন, গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাইড্রোলজিক্যাল স্টেশনগুলি নতুন করে নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজের কারণেই চিন তথ্য সংগ্রহের অবস্থায় নেই। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানাচ্ছেন, কয়েক দিন আগেও চলতি মরসুমে ব্রহ্মপুত্রের পানির উচ্চতা ও পানি ছাড়ার পরিমাণের তথ্য চিন থেকে তাঁরা পেয়ে চলেছেন। বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মোহাম্মদও একই কথা জানিয়েছেন।