ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে লাইসেন্সধারী বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছেন ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের আগে সব বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তবে সরকারি বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে। সব অস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে।
নির্দেশনার অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে চমৎকার
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করার পর আইজিপি বলেছেন, নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যে পরিবেশ আছে, সেরকম শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলে জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
আইজিপি বলেন, আমরা মূলত নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের পরিকল্পনা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করতে এসেছি। আমাদের সর্বশেষ অবস্থা-পরিস্থিতি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পুলিশের নিজস্ব পরিকল্পনার কথা কমিশনের সঙ্গে বিনিময় করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎকে নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন আইজিপি।
পুলিশ প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে নেই—বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের এমন অভিযোগ অবাস্তব বলে উল্লেখ করেন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, শুধু পুলিশ নয়, সমস্ত প্রশাসনই এখন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে ঢালাও যে অভিযোগ এ রকম কিছু আমাদের কাছে নেই।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলা বিষয়ে জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করেননি আইজিপি। পুলিশের এই প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান শহীদুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ও স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের উপকমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।