ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের বাবাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হামলায় জখম হয়েছেন কনের মাও। অভিযুক্ত ঘাতককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহ্স্পতিবার দুপুরে মগবাজারের দিলু রোডে সাবেক বিজিএমইএ ভবনের পেছনে প্রিয়াংকা সুটিং হাউজ কমিউনিটি সেন্টারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক আবদুর রব। তিনি জানান, নিহতের নাম তুলা মিয়া (৪৫)। আর অভিযুক্ত ঘাতকের নাম সজীব আহমেদ রকি (২৩)।
হামলার সময় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে সজীবের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম ফিরোজা খাতুনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তুলা মিয়ার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
সজীব পুলিশকে জানায়, বিয়ের কনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকার বিয়ে সইতে না পেরে তিনি এই হামলা করেছেন।
জানা গেছে, তুলা মিয়ার মেয়ে স্বপ্না আক্তার ফাতেমার (১৮) বিয়ের দিন ধার্য ছিল আজ। প্রিয়াংকা সুটিং হাউজ কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের সব আয়োজন চলছিল। দুপুরে সব অতিথিরা আসেন।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, বর ও কনের দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের কয়েকজনকে নিয়ে বিয়েটি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এসময় সজীব হঠাৎ সেন্টারে ঢুকে হট্টগোল সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে কনের বাবাকে ছুরিকাঘাত করে। তাকে বাঁচাতে কনের মাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। তাদের দুজনকে প্রথমে উদ্ধার করে পার্শবর্তী ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তুলা মিয়ার মৃত্যু হয়। পরে ফিরোজাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা ঘাতক সজীবকে গণপিটুনি দেয়। তাকে ঢামেকে ভর্তি রাখা হয়েছে। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে এসে স্বপ্নার সঙ্গে বরের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ‘বখাটে সজীব’ নিজেকে তুলা মিয়ার মেয়ের প্রেমিক দাবি করে। মাদকের মামলায় সাজা খেটে কিছুদিন আগে ছাড়া পাওয়ার পর তুলা মিয়ার মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার কথা জানতে পারে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সে ছুরি নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে ঢুকে তাকে এবং তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কোপায়। আশপাশের লোকজন সজীবকে ধরে ফেলে। তবে সজীবের সঙ্গে কনে স্বপ্না আক্তারের আদৌ কোনো সম্পর্ক ছিল কি না সে বিষয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়।