মো: আনিসুর রহমান :সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর নতুন প্রজন্মসহ জাতিকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানানো হয়নি, অন্ধকারে রাখা হয়েছে।এসময় যারা জন্মগ্রহণ করেছে, তারা স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস শিখতে পারেনি। ২১ বছরে জাতির যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হতে কমপক্ষে ৪২ বছর সময় লাগবে। তাই অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানাই, বাচ্চাদের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস শেখান, তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করুন।
প্রতিমন্ত্রী ৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে শিশু সংগঠন খেলাঘর এর ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে খেলাঘর ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত ‘খেলাঘর ঢাকা মহানগর উত্তর সম্মেলন ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথি বলেন, আজকের শিশুরা অনেক বেশি মেধাবী ও প্রতিভার অধিকারী। তারা দেশ-বিদেশ সম্পর্কে অনেক জ্ঞান রাখে। তাদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন কোন কঠিনতর কাজ হবে না। অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কে এম খালিদ বলেন, নবম জাতীয় সংসদে আমি যখন প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই, তখন তারা ঠিকমতো জাতির পিতার নাম বলতে পারতো না এবং স্বাধীনতার ইতিহাস জানতো না। কিন্তু এখন প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীও সঠিকভাবে জাতির পিতার নাম বলতে পারে। অভিভাবকরাই এখন বাচ্চাদের সঠিক ইতিহাস শেখাচ্ছেন।
সম্মেলনের প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অভিনেত্রী আফসানা মিমি’র সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারপার্সন প্রফেসর মাহফুজা খানম। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ লিয়াকত আলী সিকদার, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডাঃ লেলিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুনু আলী ও লাইভ টেকনোলজিস লিমিটেডের ডিরেক্টর ইয়াসির আরাফাত।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন খেলাঘর ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আরিফুর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন খেলাঘর ঢাকা মহানগর উত্তর এর সাধারণ সম্পাদক তাহাজুল ইসলাম ফয়সাল।এর আগে জাতীয় গ্রন্থাগার ভবন চত্বরে পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উল্লেখ্য, দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে- “চাঁদের মত মুখগুলোকে বাঁচাও কালো আঁধার থেকে”।