বাংলাদেশ থেকে আবারও ইমাম মুয়াজ্জিন নিচ্ছে কাতার

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: বাংলাদেশ থেকে আবারও নতুন করে আরও ইমাম ও মুয়াজ্জিন নেয়ার স্বিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার। মধ্যপ্রাচ্যের গ্যাস ও তেল সমৃদ্ধ ধনী দেশ কাতার। কাতারে প্রায় আড়াই হাজার মসজিদ রয়েছে। আর এই মসজিদ গুলির অধিকাংশ মসজিদেই বাংলাদেশি ইমাম-মুয়াজ্জিনরা অনেক বছর যাবত বেশ সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তারই প্রেক্ষিতে চলতি বছরের অক্টোবরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বিশেষ কারনে হঠাৎ করেই সেটা স্থগিত করে দেয় কাতার সরকার। দীর্ঘদিন এ কার্যক্রম স্থগিত থাকার পর আবারও শুরু হতে যাচ্ছে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ইমাম, সহকারী ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োগ পরীক্ষা।

আগামী ২২ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ইমাম, সহকারী ইমাম ও মুয়াজ্জিন হিসেবে কাতার যেতে ইচ্ছুক আগ্রহীরা  সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষার নিবন্ধন করতে পারবেন।

আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুহাম্মদপুর কবরস্থান মসজিদ কার্যালয়ে এ নিয়োগ পরীক্ষার বাছাই প্রক্রিয়া চলবে।

ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের যোগ্যতা:

১। আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বীকৃত আলেম বা ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র/প্রশংসাপত্র জমা দিতে হবে।
২। আবেনদকারীর বয়স সর্বনিম্ন ২০ এবং সর্বোচ্চ ৪৫ বছর।
৩। প্রত্যেক আবেদনকারীকেই কুরআনে হাফেজ হতে হবে। তাদবিদের সঙ্গে সুকণ্ঠের তেলাওয়াতকারী হতে হবে। তেলাওয়াতে দক্ষণ হতে হবে।
৪। জামেয়া বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিপ্রাপ্তরা অগ্রাধিকার পাবে।
৫। আবেদনকারীর দুই কপি রঙিন ছবিসহ পাসপোর্ট, জন্মসনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।
৬। উল্লেখিত কাগজপত্র জমা সাপেক্ষে আবেদনকারীর মৌখিক ইন্টারভিউ নেয়া হবে।
৭। মৌখিক ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণরাই চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য জীবনবৃত্তান্ত ও স্বাস্থ্য সনদ জমা দিতে হবে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার সনদ থাকলেও তা জমা দেয়া যাবে। তবে তা জরুরি নয়।

নিবন্ধন শুরু হবে: ২২ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর। ২৮ নভেম্বরের পর নতুন করে কোনো রেজিস্ট্রেশন হবে না।

বাছাই ও নির্বাচন: ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর।