মনের ভিতর অদম্য সাহস আর মনের মনি কোঠায় জমে থাকা প্রবল ইচ্ছা শক্তিই একদিন মানুষকে তার চুরান্ত সীমানায় পৌছে দেয়। ছোট বেলায় সকলেরই স্বপ্ন থাকে পাহার সমান, স্বপ্ন তো স্বপ্নই,তারপরেও সবাই স্বপ্ন দেখে। তেমনি এক অদম্য নারী নেত্রী বাংলাদেশ যুবমহিলা লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক-১ স্বপ্না খন্দকার । যার পথচলা শুরু গ্রামীন জনপথ ধরে মাটির রাস্তা বেয়ে। মনের ইচ্ছা শক্তিকে, শক্তিতে রুপান্তরিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী থেকে উঠে আসা এক সাহসী নারী নেত্রী স্বপ্না খন্দকার ।
গ্রামে পড়াশুনা শেষ করে ভর্তি হন ময়মনসিংহ নগরীর স্বনামধন্য বিদ্যাপিঠে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নারী নেতৃত্বে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে চলছেন তিনি । যার রক্তে বইছে আওয়ামী লীগ ও জয়বাংলার শ্লোগান, সে তো প্রতিবাদী হবেই। স্কুল জীবন থেকে সক্রিয় ছাত্র রাজনীতি,প্রতিবাদ,পোষ্টার লাগানো,মিছিল সবই ছিল পড়াশুনার পাশাপাশি একজন নারী নেত্রী হিসেবে স্বপ্না খন্দকারের রুটিন। কোন পদ পদবীর লোভে নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে কর্মী তৈরী,নিয়মিত তাদের খোজ খবর নেওয়া, বিভিন্ন প্রোগ্রাম সফল করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করাই তার একমাত্র ধ্যান ধারনা। তিনি ছোটবেলা থেকেই পরোপকারী ছিলেন,তৃণমূল থেকে কঠোর পরিশ্রম করে পরবর্তীতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকার সিনিয়র সহ সভাপতি, দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সামাজিক কল্যাণ পরিষদেও।
মানবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি রাজনীতিতে তার ভূমিকা ভূলে যাওয়ার মত নয়।তৃর্ণমুল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন সহ সমাজের নারীদের আওয়ামী লীগের পতাকা তলেও ঐক্যবদ্ধ করতে ছুটে চলেন জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। তিনি বাংলাদেশ কৃষকলীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য। একজন নারী নেত্রী হিসাবে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ায় পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। তারপর যুব মহিলা লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পেয়ে নারীদের কে ঐক্যবদ্ধ করে তার সাথে নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম তরান্বিত করে যাচ্ছেন।
স্বপ্না খন্দকার গ্রামের অসহায় মানুষজনের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে ছুটে যান,তার এলাকার উন্নয়নের জন্য। নিজের উদ্যোগে বিভিন্ন সময় অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের সহাযোগিতা করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হোক সে ছোট কিংবা বড় অনুষ্ঠান,জনগনের ডাকে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকেন। তরুন ও যুব সমাজকে তিনি অনেক বেশি মূল্যায়ন করেন, তিনি মনে করেন মোটিভেশন টা যুবক আর তরুনদের দিয়েই শুরু করা উচিত এবং তা সহজ। ৫০ উর্ধদের উনি পরামর্শ দাতা হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি।করোনাকালীন সময়ে ময়মনসিংহ নেতৃবৃন্দের মধ্যে তিনি সব সময় জেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের সহযোগিতার জন্য অধিকাংশ সময় সহযোগীতা নিয়ে মানুষের বাড়ী-বাড়ী অবস্থান করেন এবং উপহার সামগ্রি বিতরণ করেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন এলাকার জনগনের প্রবল ইচ্ছার কারনে ময়মনসিংহ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় ছিলেন,তারপর নেত্রী মহান মাতৃ ভাষা আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারী একজন ভাষা সৈনিক এর মেয়েকে দলীয় মনোনয়ন দেন। নেত্রীর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তার পক্ষে মাঠে জোরালো ভাবে কাজ করেন।বর্তমান সময়ে স্বপ্না খন্দকার তার নির্বাচনী এলাকার জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন। জনগন তাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখেন ভাবেন এবার স্বপ্না আপুর মূল্যায়ন হবে।