ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার দেওখোলা ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারি বিজয় কুমার মিত্র এর বিরুদ্ধে দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়, তিনি যোগদানের পর থেকেই অফিসটিতে দালালদের দৌরাত্ন্য,তদন্ত ছাড়াই নামজারি প্রতিবেদন প্রদান ,জমির মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে রশিদে কম টাকা লিপিবদ্ধসহ নানা অনিয়ম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জনসাধারণের মতে এ অফিসে সেবার চেয়ে হয়রানিই বেশী হয়।
স্থানীয়রা জানান, দেওখোলা ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয়না। এটা এখন সকলেই জানে। সাধারণত জমির দাখিলা নিতে গেলেও গুনতে হয় অতিরিক্ত অর্থ । ঝুপ বুজে কুপ দেওয়া এই ভূমি উপ-সহকারির অফিসে সেবা নিতে আসলে কতেক কাজে তিনি সরাসরি আবদার করেন। আবার কতেক সময় তাঁর পিওন কে দিয়ে হাতিয়ে নেন ঘুষের টাকা। তঁাদের হুকুমের বাহিরে কোন কাজ করতে গেলে হয়ারানি ও বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বলেও ভোক্তাভোগীরা জানায়।
স্থানীয় যুবক তামিম বলেন, গত মাস দুয়েক আগে আমি একটি খারিজের আবেদন করি। তিনি জানান আমাকে দিয়ে কাজ করাইলে প্রসেস মতো কাজ করে দিবো । দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। আমি তাঁর কথা না মানায় তিনি খারিজ বাতিল করে দেন। পরে আমার আব্বা তাঁর কাছে গেলে তিনি
১৩ হাজার টাকা চায়। পরে তাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে খারিজ করাই।
লক্ষীপুর এলাকার মোফাজ্জল বলেন, আমার বাবার নামে বি আর এস থাকার পরেও নায়েব আমার চাচার নামে জমি খারিজ করে দিয়েছে। অথচ ঐ জমিতে আমার স মিল রয়েছে। নায়েব খারিজ দেওয়ার পূর্বে কোন তদন্ত করে নাই। যার কারণে এখন আমি খারিজ ভাঙ্গার আবেদন করেছি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক আ’লীগ নেতা বলেন, নায়েব সাহেব টাকা হলে দ্রুত কাজ করে দেন। অন্যথায় বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। মোটকথা উনার সন্তুষ্টির উপরই মেলে কাজের সেবা।
এ ব্যাপারে দেওখোলা ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারি বিজয় কুমার মিত্র বলেন, মোফাজ্জলদের ঐ জমি দলিলমূলে খারিজ করেছি। আমার বিরুদ্ধে কিছু শয়তান মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আসলে দেওখোলা অফিসে কোন লোকই আসে না। ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সেলিনা আক্তার বলেন, ঠিক আছে ,আমি বিষয়টি দেখবো।