ষ্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহঃ এলার্জি ও চর্ম রোগে আক্রান্ত ২১ বছরের এক তরুণী চিকিৎসার জন্য আসে ডাক্তারের কাছে। সে ডাক্তার ভুল চিকিৎসা দিয়ে ঐ তরুণীর চেহারা সহ গুটা শরীর বিকৃত করে দিয়েছে। তরুণীর শরীর ও চেহারা হয়ে উঠেছে ভয়ংকর প্রকৃতির। এ ঘটনাটি ঘটে ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখলা বাজারস্ত কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
তরুণী টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার আটারদানা এলাকার -মোঃ সেলিম রানা ও মোছাঃ জেসমিন আক্তার এর মেয়ে মোছাঃ সুরাইয়া ফাতেমা (২১)। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তরুণী মোছাঃ সুরাইয়া ফাতেমা (২১) এর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। শরীর ও চেহারা একেবারে বিকৃত। যে কেউই তাকে দেখলে ভয় পাবে। শরীর ও চেহারা ভয়াবহ ভয়ংকর প্রকৃতির একটি রুপ নিয়েছে। আমাদের দেশে চিকিৎসা অঙ্গনের বদনাম। যা মেনে নেওয়া যায় না।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণী সুরাইয়া ফাতেমা (২১) মা’ মোছাঃ জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডাঃ এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর নামে ফুলবাড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালক মোঃ ডাঃ এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ), এর বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ করিতেছি যে, বিবাদীর অত্র ফুলবাড়ীয়া থানাধীন দেওখলা বাজারস্থ কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক ক্লিনিক দিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে।
বিবাদী কোন প্রকার প্যাকটিক্যাল ডাক্তার না। সে একজন ভূয়া ডাক্তার। বিবাদী মাঝে মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ভূল করিয়া গরিব মানুয়ের চিকিৎসা করিয়া ক্ষতি সাধন করে। উক্ত বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। আমার মেয়ে মোছাঃ সুরাইয়া ফাতেমা (২১), এর চর্ম রোগের কারনে আমি আমার উক্ত মেয়েকে উল্লেখিত ডাক্তারের নিকট নিয়ে যাই।
পরে বিবাদী আমার মেয়েকে দেখে জানায় যে, তার পরামর্শ অনুযায়ী আমার মেয়েকে তাহার নিকট হইতে ঔষুধ খাইলে আমার মেয়ের রোগ ভাল হবে। পরে আমি বিবাদীর পরামর্শ অনুয়ায়ী অনুমান ৪ মাস পূর্ব হইতে আমার মেয়েকে ঔষুধ খাওয়াইয়া আসিতেছে। কিন্তু বিবাদী আমার মেয়েকে ভুল চিকিৎসা করার কারনে আমার মেয়ে মোছাঃ সুরাইয়া ফাতেমার রোগ ভাল হয় নাই এবং আমার মেয়ের মারাত্নক ক্ষতি সাধন করিয়াছে। আমি আমার মেয়ে মোছাঃ সুরাইয়া ফাতেমাকে বিবাদীর নিকট হইতে ১,২০,০০০/- টাকার ঔষুধ খাওয়াইছি।
এমতাবস্থায় গত ইং ১০/০৬/ ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে নিয়া বিবাদীর ক্লিনিকে গিয়া বিবাদীকে ভূল চিকিৎসার কথা জিজ্ঞাসাবাদ করিলে বিবাদী আমাদেরকে হুমকি দিয়া বলে যে, বিবাদী আমার মেয়ের কোন প্রকার চিকিৎসা করায় নাই বলিয়া অস্বীকার করে তখন আমি বিবাদীকে চিকিৎসা পত্র দেখাইলে আমাদেরকে বলে যে, উক্ত চিকিৎসা পত্র তাহার নয় বলিয়া জানায়।
বিবাদী ইচ্ছাকৃতভাবে দীর্ঘ দিন আমার মেয়েকে ভুল চিকিৎসা করাইয়া আমার নিকট হইতে ঔষুধ, বিজেট ও পরীক্ষা বাবদ সর্ব মোট ১,২০,০০০/-টাকা নিয়াছে। বিবাদী মাঝে মধ্যেই ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মেয়ে সহ অন্যান্য লোকজনদেরকে ভুল চিকিৎসা করিয়া ক্ষতি সাধন করিয়া থাকে বিধায় বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা একান্ত প্রয়োজন।
এ ঘটনায় মোঃ ডাঃ এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিয়েও তার সাথে কোন যোগাযোগ করা যায়নি। এ ঘটনায় ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ঘটনাটি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনার তদন্ত চলমান বিস্তারিত তদন্ত হওয়ার পরে জানাবো।