নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া আছিম ইউনিয়নের ঘুঘুরার চালা পাটূলী অঞ্চলের মৃত কারী আবুল হোসেনের ছেলে আছাদুজ্জামানের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্র শিশু সন্তান শামীম(১১) কে পরকীয়া প্রেমে পড়ে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী নাছিমা বেগমসহ ৫জনকে আসামী করে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফুলাবাড়ীয়া অঞ্চল আদালতে মামলা দায়ের স্বামী আছাদুজ্জামান।ধারা৩০২/৩৪দঃবিঃ। মামলা নং ২৩/২০২১। মামলায় ৩নং বিবাদী স্ত্রী নাছিমা বেগম ও অন্যান্য যারা তারা হলেন, ১।এনামুল হক(৩০), ২।জয়নাল আবদীন(৫৫),৪।রেহেনা বেগম (৪৫), আবুল বাসার(৩৩) ও অজ্ঞাতনামা৫/৬ জন।
উল্লেখ্য -গত ২জানুয়ারী (শনিবার) দুপুরে মামলায় উল্লেখিত ২নং আসামী ফুলবাড়ীয়ার আসিম ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ী( ভাঙ্গিফাটা) তার বসতবাড়ীতে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভন্ড কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করান যা ভন্ড কবিরাজের সাথে আরো ৫/৬জন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি ও মামলায় আরর্জীতে উল্লেখ রয়েছে ১,২ ও ৩নং বিবাদী তারাও ছিল। পরে ভন্ড কবিরাজের চিকিৎসা করা অবস্থায় শিশু শামীম চিৎকার করছিল বাহিরের কাউকে ঘরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। পরে ঘরের দরজা খোলার পর শিশু শামীমের মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত পড়ে বিছানা ভিজিয়ে গিয়েছে এমতাবস্থায় মামলার ১নং বিবাদী দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। ৩নং বিবাদী শিশু শামীমের মা ও অন্যান্য বিবাদীরা শামীমকে ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার শামীমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে (মমেক) হাসপাতালে মৃত শামীমের লাশ পাঠানো হয়।
এবিষয়ে মামলার বাদী শামীমের পিতার আছাদুজ্জামান মামলায় বিবরণ দিয়েছেন যে তার স্ত্রী ৩নং বিবাদী ৫নং বিবাদীর সাথে পরক্রীয়া প্রেমে আসক্ত ছিল। শামীম মায়ের অপকর্মের প্রতিবাদ করতো বলেই ১-৫নং বিবাদীরা পরিকল্পনা করে শামীমকে হত্যা করেছে।
মামলা বিষয়ে তথ্যসূত্র বাদী -আছাদুজ্জামান।