পরকিয়ায় বাধ্য করা আ’লীগ নেতা নূরুল ইসলামের খুটির জোর কোথায়

মোঃ আনিসুর রহমান,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ১৩ নং ভবানীপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে জোরপূর্বক পরকীয়া সম্পর্ক করতে গিয়ে গণধোলাই স্বীকার হয়েছিলেন এক আ’লীগ নেতা ।

গনধোলাইয়ের শিকার নুরুল ইসলাম ভবানীপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক। জানাগেছে, একাধিক ধর্ষন, ধর্ষন চেষ্টা করায় একাধিক বার গণধোলাই এর স্বীকার হন এই নেতা।কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব থাকার কারণে তিনি বারবার পার পেয়ে যান।এমন নেক্কার জনক ঘটনা ঘটানোর পরও তার বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্হা নেওয়া হয়নি।বহাল তবিয়তে এবং বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নুরুল ইসলাম। সচেতন মহল মনে করেন নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্হা গ্রহণ না করলে বাংলাদেশ আ’লীগের সুনাম ক্ষুন্ন হতে পারে। তবে তার চারিত্রিক কলংকের দায় কি দল নিবে কিনা তা নির্ধারণ করবে স্হানীয় আ’লীগ। সচেতন মহল আরও মনে করেন একজন নেতার ২টি পরিচয় থাকে তাহল – রাজনৈতিক এবং ব্যাক্তিগত পরিচয়।এখন উপজেলা আ’লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্হা গ্রহন করে তা জানা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া কিছুই করার আছে কি? তবে ব্যাক্তি দায় দল নিবেই বা কেন?

গত ২৫শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াই টায় উপজেলার জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছিল। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে জয়পুর গ্রামের মৃত আঃ ছালামের বিধবা মেয়ে জালুমন নেছা কে লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন নুরুল ইসলাম।

এলাকাবাসীর সুত্রে আরও জানাযায়, ৮ বছর আগে সন্তান নাহওয়ার কারণে তাকে তালাক দেন তার স্বামী। সেই থেকে মানুষের বাড়িতে কাজ করতো এবং বাড়ী বাড়ী ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল বিধবা জালমুন নেছা। জালুমন নেছা কে, সরকারী ঘর এনে দিবে বলে বার বার তাকে কু-প্রস্তাব দিতো ঐ নেতা। তার কু-প্রস্তাব বারবার ফিরিয়েও দেন জালমুন নেছা। গত ২৫শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ২.৩০ মিনিটে জালুমন নেছার ঘরে প্রবেশ করে নুরুল ইসলাম।

এমন সময় বাড়ীর লোকজন তার উপস্থিতি টের পেয়ে জালুমন নেছার ঘর ঘেরাও করে সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম কে আটক করে। পরে গণধোলাই দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ৪নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি মুঠোফোনে এই প্রতিবেদক কে জানান- আমিও বিষয়টি শুনেছি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি হয়েছে। তবে এই বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে পারবনা। এলাকাবাসী এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করেন এবং নুরুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।