দলিল লেখক সমিতির মেয়াদোত্তীর্নকমিটি,দূর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ

মোঃ কামাল হোসেনঃ ময়মনসিংহ ত্রিশালে সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস দলিল লেখক সমিতির বর্তমান মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির বিরুদ্ধে নানা রকম দূর্নীতি- অনিয়মের অভিযোগে রবিবার (২৯ আগষ্ট ২০২১) বিকাল সাড়ে ৪টায় সময় সমিতির একাংশের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দলিল লেখক সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক ০৩( তিন) বছর মেয়াদ । মেয়াদ শেষে হওয়ার পূর্বে ১৫ জুলাই ২০২১ সাধারণ পরিষদের সভায় ০৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন ও তাৎক্ষনিক সর্বসম্মতিক্রমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কন্ঠ ভোটে তৃতীয় বারের মত মোঃ শরিফুল ইসলাম সভাপতি মোঃ দুলাল মিয়া সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়।

পূর্বের কমিটির মেয়াদ ২৮ জুলাই ২০২১ শেষ হলে বাকী ১১ পদের নির্বাচন সাধারন পরিষদের সভা ডেকে সম্মেলন/নির্বাচন প্রস্তুত করার জন্য এক মাস সময় নিয়ে থাকে বলে জানা যায়। শীর্ষ দুই পদ সভাপতি/ সম্পাদক ব্যাতিরেকে ১১ পদে নির্বাচন সদস্যদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিলে কার্যকরী পরিষদের একাংশের দাবীর প্রেক্ষিতে পূর্বের রেজুলেশন বাতিল করে পূর্নাঙ্গ নির্বাচনের জন্য গত ১৬আগষ্ট ২০২১ আবারও ০৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় যা ২১ আগষ্ট ২০২১ তারিখের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে অপারগতায় আবারও নির্বাচন কমিশন বাতিল বলে গণ্য হবে।

২৯ আগষ্ট ২০২১ পূর্নরায় সাধারন পরিষদের সভায় নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা রেজুলেশনে উল্লেখ থাকলেও সম্পূর্ণ বিধি ও নীতি বহির্ভূত ভাবে রাতের অন্ধকারে সাধারন সদস্যদের অগোচরে কয়েকজন মিলে একটি অবৈধ কমিটি গঠন করে সমিতির বোর্ডে টানিয়ে দেয়।

সভায় সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান বলেন- আমরা সমিতির সাধারন সদস্যরা কমিটির নিকট সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব বারবার চেয়ে ও ব্যর্থ হই। সিনিয়র দলিল লেখক মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ রফিকুল ইসলাম, ওয়াহিদ সরকার বলেন- আমরা সমিতির সাধারন সদস্যদের কষ্টার্জিত অর্থের সঠিক হিসাবের জন্য কমিটিকে তাগিদ দিলে কোন রকম নোটিশ ছাড়াই আমাদের কয়েকজনকে ভোটের তালিকা হতে বাদ দিয়ে একটি অবৈধ ভোটার তালিকা প্রকাশ করে থাকে।

অভিযোগের বিষয়ে বর্তমান কমিটির সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলামের সাথে সাক্ষাতে কথা বললে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- আমি এ ধরনের কোন সভা/মিটিংয়ের বিষয়ে অবগত নই তবে সমিতির ০৩ (তিন) বছরের চাঁদা পরিশোধ না করায় সদস্য পদ থেকে বাদ পড়া কয়েক জন সদস্য অফিস টাইমের পরে একটি চা-চক্র করেছে বলে জানতে পারি।

সভায় বক্তৃতারা অবৈধ ভাবে গঠিত কমিটি প্রত্যাখান করে অনতি বিলম্বে সাধারন পরিষদের সভা আহবান করে নির্বাচন কমিশন গঠন করে একটি সুষ্ঠ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি জানায়।