অনুসন্ধানী রিপোর্টারঃঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র সাবেক ছাত্রনেতা, সাবেক সফল যুবলীগ নেতা মুজিব আদর্শের এক লৌহমানব আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছকে দলে বাহিরে রাখা মানেই ত্রিশালের আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার এক মহা পাঁয়তারা।
এ মেয়র আনিছ একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাঁর পিতা ত্রিশাল থানা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মরহুম আবুল হোসেন চেয়ারম্যান।
ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক আবুল কালামের আপন ভাতিজা এই মেয়র আনিছ। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়কের বড় ভাই এই মেয়র। যার সারা পরিবার আওয়ামীলীগ,যিনি দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য জননেতা হিসেবে ত্রিশাল পৌরসভা থেকে বার বার মেয়র নির্বাচিত হচ্ছেন আর সেই প্রভাবশালী নেতা আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছকে বিভিন্ন সময় আওয়ামীলীগ থেকে দূরে রাখার যে পাঁয়তারা করা হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই যদি হয়! তাহলে ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগ চলে যাবে অনুপ্রবেশকারী ও নব্য আওয়ামীলীগদের দখলে। অতীতের এক বিশেষ জরিপে দেখা যায়, এই মেয়র আনিছ ৮১সাল থেকে ত্রিশাল ছাত্রলীগের তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। ১৯৯০ সালের পর ৯৪ সালে উপজেলা যুবলীগ সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগের ত্রিশালের সংসদীয় হারানো আসন পূর্ণউদ্ধার করেন। এরপর ২০০১ সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আওয়ামীলীগের আসনের জয় ছিনিয়ে আনেন।
২০০৮সালেও এই মেয়র আনিছ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্দেশ অনুস্বরণ করে আওয়ামীলীগের আসনকেই জয়ী করে আনেন। এরপর ১৪দলের সিদ্ধান্তে আওয়ামীলীগের প্রার্থী না দেওয়ায় আওয়ামীলীগের এক বিদ্রোহী প্রার্থীকে পরাজয় করে ১৪দলের প্রার্থীকে জয়ী করে আওয়ামীলীগের জয় অক্ষুণ্ণ রাখতে সহযোগীতা করেন। এরপর ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্যকে জয়ী করে আনতে ত্রিশাল জুড়েই হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামেন এবং বিশাল বিজয় আসে এ আসনে।
এখানে দলের সব দূঃসময়ের মেয়র আনিছ যখন নেতৃত্বে সামনে থাকতে হয় ঠিক উল্টো নেতৃত্ব থেকে ছিটকে ফেলতে একটি চক্র সবসময় মেয়রের পিছন পিছন পা রাখছেন যাতে মেয়র উপজেলা আওয়ামীলীগ কিম্বা জেলার কোন দায়িত্ব না পায়।
রহস্যটি ছোট আকারের প্রকাশ পেলেও প্রকৃত পক্ষে মেয়র বিষয়ে জানতে হলে আগে জানতে হবে দূঃসময়ে মেয়রের কি ভূমিকা ছিল?
আর যারা মেয়রকে বাহিরে রাখতে চাচ্ছেন তাদের কি ভূমিকা ছিল? বলা চলে মেয়র যদিও উপজেলা আওয়ামীলীগের কোন দায়িত্বে নেই তবে মানুষ মনে করে মেয়র নামের মানুষটি ত্রিশালের আওয়ামীলীগ। তাকে দলের বাহিরে রাখলে সেই অতীতের দিন গুলোর মত ত্রিশালের আওয়ামীলীগ একদিন ধ্বংসের পথে চলে গিয়ে সংসদীয় আসন হারানোর সম্ভাবনা থাকবে। সুবিধা হবে অনুপ্রবেশ কারী, হাইব্রিড ও নব্য আওয়ামীলীগদের।