মোঃ আসাদুল ইসলাম মিন্টুঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে ১০বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারকরায় কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদিরকে আটক করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের পোড়াবাড়ী বাজার মাদ্রাসা থেকে আব্দুল কাদিরকে আটক করা হয়।তিনি উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের পোড়াবাড়ী বাজারে কওমি মাদ্রাসাজামিয়া রশিদিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয় সূত্রে ও থানায় অভিযোগ পত্রে জানাযায়, ওই শিশু চার বছর ধরে জামিয়া রশিদিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় আবাসিক থেকে দ্বীনই শিক্ষা গ্রহণ করে আসছিল। প্রায় রাতেই সবাই ঘুমিয়ে গেলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কাদির ওই শিশুকে তার রুমে নিয়ে বলাৎকার করে। ঐ শিশু মাদ্রাসা ছুটিতে বাড়ীতে আসলে ছুটি শেষে মাদ্রাসায় যেতে চায়না। যেতে না চাওয়ার কারন জিজ্ঞেস করলে লজ্জায় সে কিছু বলে না। পরে লিখিত ভাবে তার চাচাদের জানায় যে মাদ্রাসা শিক্ষক প্রতি রাতে তার রুমে নিয়ে তার উপর নির্যাতন করেন। এর আগেও একাধিকবার তিনি ওই শিশুসহ আরো অনেককেই নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি এ মাদ্রাসা সহ তিনটি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তার ঘরে চার জন স্ত্রী রয়েছে।
স্থানীয় মঠবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মন্ডল বলেন,বলাৎকারকারী মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল কাদিরকে আটক করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ। এর আগে ঐ শিক্ষক আরো তিন ছাত্রকে বলাৎকার করেছে বলে ভোক্তভোগী ছাত্ররা জানায়। যে ছাত্রকে বলাৎকার করে ধরা পড়েছে তার বাবা নেই সে লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারেনা তার চাচাদেরকে লিখিত ভাবে জানালে সবাই জানতে পারে।
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাইন উদ্দিন জানান, বলাৎকারের অভিযোগে কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদিরকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হওয়ার পর আইন আনুক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশুর বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি গ্রহন করছেন।
বলাৎকারকারী মাওলানা আব্দুল কাদির উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পোড়াবাড়ী বেপারীবাড়ী মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।