মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদক:: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন (৩০ ডিসেম্বর ২০১৮) ইং তারিখে সারাদেশে একযোগে অনুষ্টিত হবে। আর মাত্র কিছুদিন বাকি। ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনে আওয়ামীলীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য দলের মনোনিত প্রার্থীগণ তাদের দলের প্রতিক নিয়ে ভোটারদের দ্বারেদ্বারে ভোট চাচ্ছেন। নিজনিজ দলের পূর্বের সফলতার কথা এবং ক্ষমতায় গেলে উপজেলার জনগণের ভালোর জন্য কি কি করবেন তা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীগণ। ঘরে, বাহিরে, রাস্তাঘাট, চায়ের স্টলসহ সকল সকল যায়গায় আলোচনা একটাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে।
বর্তমান সময়ের বহুল প্রচারিত মাধ্যম হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ফেসবুকের কল্যাণে নৌকা পাগল ‘বুলবুল’র দেখা পায় এই পোর্টালের নিজস্ব প্রতিবেদক। বর্তমান সময়ে ‘বুলবুল’ ত্রিশাল উপজেলায় একজন আলোচিত মানুষ। আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আল- ইমরান সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র সমর্থক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আপা বলে ডাকে এই নৌকা পাগল ‘ আবুল হোসেন বুলবুল ’ তার বাড়ি ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে, সে ছোটখাটো একটি গ্যারেজের মালিক, পুরাতন রিক্সা/ভ্যান কমদামে কিনে মেরামত করে আবার অল্প লাভে বিক্রি করে যে টাকা পায় সে টাকা দিয়ে তার সংসার কোনরকম চলে, তবে আওয়ামী লীগ’র জন্য তার বসতঘর/ভিটেমাটি বিক্রি করতেও সদা প্রস্তুত।
ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনে মহাজোট মনোনিত প্রার্থী আলহাজ্ব হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী মনোয়ন পাওয়ার পরদিন থেকে নিজের টাকা খরচ করে সে দলকে ভালবেসে একটি ভ্যানগাড়ি, একটি নৌকা, এবং প্রচারনার জন্য মাইকের সকল সরঞ্জাম কিনে প্রথমে আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে নৌকার প্রচারনা শুরু করে বর্তমান আশপাশের ইউনিয়নগুলোতেও প্রচারনা শুরু করেছে, দুদিনের প্রচ- শীতেও তার প্রচারনা কেও থামাতে পারেনি, তার শারিরিক অবস্থ্যা ভালো থাকলে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সে শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত প্রচারনা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি জানান।
আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ/ ছাত্রলীগ’র নেতাকর্মীরা তাকে পকেট খরচ দিতে জোড় করলেও নিতে রাজী হয়নাই এই ‘নৌকা পাগল বুলবুল’। টাকা পয়সার প্রতি তার কোন লোভ নেই, দলের পদপদবির প্রতিও কোন লোভ নেই। সে রুহুল আমিন মাদানীর একজন অন্ধ ভক্ত। সে তার প্রচারনার মাইক দিয়ে সবার কানে কানে পৌঁছে দিচ্ছেন- আলহাজ্ব হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী ১৯৯৬ সালে যখন এমপি নির্বাচিত হয়েছিলো তখনকার সময়ে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট, কালবার্ট, ব্রীজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল উন্নয়নের কথা, সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র কাছথেকে কিছু পেতে চায়না, তার বিশ্বাস দেশের উন্নয়নমূলক অসমাপ্ত কাজগুলোকে সমাপ্ত করতে আবারো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক, তাই সে কারো হাতের দিকে না তাকিয়ে নিজের সামর্থ্যানুযায়ী অর্থ ব্যয় করে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রচারনা অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য- কিছুদিন আগে আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কাশীগঞ্জ বাজারে গ্রামগ্রঞ্জের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী হা.ডু.ডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়, সে খেলায় তার কয়েক কাটা জমী বিক্রি করে সেই টাকা খেলায় উপহার দেন ‘আবুল হোসেন বুলবুল’ ।