ত্রিশাল(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :অসুস্থ্য সমাজ ব্যবস্থা আর মানব চাহিদার অপার সম্ভাবনার দেশে এখন বাংলাদেশ।কারণ ৮০/৯০ দশক পেরিয়ে যাবার পর আমাদের মানবিক অবক্ষয় তিলে তিলে শেষ করছে আমাদের । তাই প্রতিদিন তৈরী হচ্ছে নানা অপ্রতিকর অপ্রত্যাশীত ঘটনা। ঘরে বাইরে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় নারীরা যেমন পিছিয়ে নেই তেমনি কাজের স্বার্থে বাইরে থাকার সুবাদে নানা রকম প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হয়ে মুখরোচক ঘটনার জন্মদিচ্ছেন কিছু অপরিপক্য জ্ঞানের ছেলে এবং মেয়েরা।যা সমাজে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে। এমনি এক ঘটনার জন্ম এখন ময়মনসিংহের ত্রিশালে।
যেহেতু ঘটনার মূলস্থান ভালুকা তাই ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে,গত তিন বছর আগে ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা সোনাখালী গ্রামের সেই প্রতারিত নারী ভালুকার একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করার সুবাদে সেখানে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত। অন্যদিকে ভালুকায় গ্রামীণ ফোন কোম্পানীর হয়ে চাকুরী করতো ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা সোনাখালী এলাকার গোপাল চন্দ্র দাস নামের প্রতারক যুবকটি। মেয়েটির সাথে পরিচয় হওয়ার পর গোপাল জানায় সে মুসলমান হয়েছে তার নতুন নাম মেহেদী হাসান। মেহেদী হাসান মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। নব্য মুসলমান হওয়ার কারণে মেয়েটি সরল বিশ্বাসে তার প্রেমে সাড়া দেয় এবং দিনে দিনে অবৈধ শারিরীক সর্ম্পক গড়ে তোলে। মেয়েটির বাসায় স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তারা রাত্রি যাপন করতো থাকে । বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ মেলামেশায় এক সময় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তখন গোপাল চন্দ্র দাস ওরফে মেহেদী হাসানকে তাগেদা দেয়ার পর দুজনের মধ্যে যোগাযোগ কমতে থাকে। মেয়েটি বিয়ের জন্য তাগদা দিলে গোপাল চন্দ্র দাস তার সন্তানকে নষ্ট করার পরামর্শ দেয়। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় মেয়েটি শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামের বাড়ী ত্রিশালে চলে আসে এবং তার পরিবারকে বিষয়টি জানান।
১৩ই ফেব্রুয়ারি গর্ভবতী মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৯ শে ফেব্রুয়ারি মেয়েটি একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে। এরপর সে তার বাবার বাড়ীতে চলে আসার পর আবার ও অসুস্থ হলে ২০ শে ফেব্রুয়ারি ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় তাকে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি মেয়েটি বাড়ীতে চলে আসে এবং ভালুকা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ভালুকা মডেল থানার ওসি মাঈনুদ্দিন এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এর মাঝে মৃত সন্তানের লাশ নিয়ে ধানীখোলার সোনাখালীতে শ্রী গোপাল দাসের বাড়ি অবস্থান নেয়।এিশাল থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে মেয়েটিকে নিয়ে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় আবারও ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এিশাল থানা পুলিশ বাচ্চার লাশ ময়নাতদন্তে ও ডি এন এ টেস্ট এর জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়।
বিষয়টি অনেক সেনসেটিব এখানে অবৈধতার সাথে ধর্মীয় সহনুভূতিকে ব্যবহার সহ দুজনেই অপরাধি । মুসলমান ছেলে হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে এক মুসলিম মেয়ের সাথে অবৈধ মিলনে লিপ্ত হয় এক হিন্দু প্রতারক যুবক । এখানে যারা এটা ধর্ষন বলে চালাতে চাইছেন তাদের ধিক্কার কারণ কিভাবে এটা ধর্ষণ হয় । বিয়ের প্রলোভনের পর তারা সেচ্ছায় মিলিত হয়েছে আর অন্তঃসত্তা হওয়ায় পর ধর্ষন বলে কাকে বাচাতে চাইছেন ? ছেলে না মেয়ে কারণ এরা দুজনেই অপরাধী। একে তো ছেলেটি প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে। আবার নিজের মনকামনা পূরণের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করেছে। অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের পর মেয়েটিকে অস্বীকার এটা এসময় স্বাভাবিক হয়েই বেড়ে উঠতে চাইছে। মেয়েটিও তার সব বিলিয়ে এখন নিজেকে কি দাবি করছে।সে ঠিক না সে ঠিক নয়।
তথ্য সূত্র-channel6bd. তথ্য সূত্র- somoyeraborton