ত্রিশাল প্রতিদিনঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা ৩নং কাঠাল ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন কামালের এসব রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড ও বিভিন্ন অনিয়ম দুর্ণীতির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে দুর্ণীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান (দুদক) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ধলাইমান এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র নাজমুল হুদা। তিনি প্রশাসনের কাছে এর তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
আওয়ামীলীগ নেতা নাজমুল হুদার অভিযোগে জানা গেছে- উপজেলার কাঠাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন কামাল উন্নয়নে সরকারী বরাদ্ধকৃত প্রকল্প এলজিএসপি, টি আর, কাবিখা, কাবিটা,হতদরিদ্রদের ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসুচী নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকার দুর্ণীতি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ৪০ দিনের কর্মসুচীতে কিছু কাল্পনিক হতদরিদ্রদের তালিকা করে তাদের নামে ভূয়া একাউন্ট তৈরী করে অর্থ আত্মসাৎ করে কামাল চেয়ারম্যান প্রায় ৩০লক্ষ টাকা ও এলজিএসপির কাজের ভূয়া ভাউচারে ৫০লক্ষ টাকা,রেজিষ্ট্রেশনের ১%এর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রয়েছে।
অপর দিকে চেয়ারম্যান কামাল বিভিন্ন সময় ইউনিয়ন পরিষদে যুদ্ধাপরাধীর মুক্তি ও শান্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করেছেন বলেও অভিযোগে রয়েছে। সরকারী বরাদ্ধের অর্থ লোটপাট,বয়স্ক,বিধবা সহ বিভিন্ন ভাতার অনিয়ম,ভিজিডি,ভিজিএফ এর চাউল চুরি করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযোক্ত চেয়ারম্যান কামাল বর্তমানে ইউনিয়নের সকল পেশাশ্রেণীর মানুষের মাঝে দুর্ণীতির মহানায়ক হিসাবে আলোচনার স্থান করে আছেন। ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের চেয়ারম্যান কামালের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে লুট হওয়া সরকারী অর্থ হেফাজত করার জোড় দাবী জানান।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ত্রিশাল উপজেলার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা কাঠাল ইউনিয়নের সন্তান ফজলে রাববী এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান- কামাল একটা দুর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যান। সে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কাঠাল ইউনিয়নে কোন উন্নয়ন কাজ হয়নি। সে সকল বরাদ্ধ আত্মসাৎ করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ব্যাহত করছে। ইউনিয়ন পরিষদে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীর মুক্তির জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করে সে রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করেছে। অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোড় দাবী জানান তিনি। তিনি বলেন -চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির নেতা হওয়ায় সে ইউনিয়নের আমাদের দলের নেতাকর্মীদের সকল কিছু থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।
ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা হারুন অর রশিদ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- চেয়ারম্যান দুর্ণীতির মাধ্যমে সকল সরকারী বরাদ্ধ লোপাট করে ইউনিয়ন বাসীকে ঠকিয়ে নিজে সম্পদের পাহাড় বানাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দুর্ণীতির বিচার দাবী করেন তিনি।