নিজস্ব প্রতিনিধি, ত্রিশাল প্রতিদিন: ময়মনসিংহের ত্রিশালে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা হান্নান তালুকদার। তিনি ১৯৬৮সাল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ত্রিশাল ধানীখোলা ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৭৪সালে থানা যুবলীগের সদস্য ছিলেন, ১৯৮০সালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য হয়ে দলের জন্য কাজ করছেন।১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব পালন করেন।২০০৮সালে থানা আওয়ামীলীগের সদস্য হন।
৫২বছর রাজনৈতিক জীবনে পিতার রেখে যাওয়া অর্থ সম্পদ প্রায় সবটুকু বিক্রি করে দল ও নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারের জন্য কাজ করে এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকার মত অবস্থা প্রায়। কিন্তু আওয়ামী রাজনীতির মায়ায় বাধা তার বিবেক। তালুকদারি রেওয়াজ ধরে রেখে ভদ্র আচরণ করে চলাই ছিল হান্নান তালুকদারের বড় গুণ।এখন প্রায়ই বসে থাকে একা দেখলেই মনে হয় কিছু একটা চলছে মনের ভেতর।কিন্তু নিরব চেয়ে থাকে রাস্তার দিকে।
দলের দূঃসময় হান্নান তালুকদার দলের একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। বয়স হয়েছে নিরব তিনি,কেন যেন আজ খুশি নন ।তেমন একটা দেখা যায় না বর্তমান রাজনৈতিক কোন সভা সমাবেশে । বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথা বললে অনেকটা আক্ষেপে অতীতের সব স্মৃতি গুলো তুলে ধরলেন। এবং বললেন, প্রয়োজন হলে সবাই ডাকে যাই , প্রয়োজন শেষ হলে নিরব হয় সবাই, চলে আসি ।সেই ৬৮ সালে ছাত্রলীগ দিয়ে শুরু তারপর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর গণ-আন্দোলন আর আজ এখন ২০২০ সাল। অনেক ঘাত- প্রতিঘাতের পর আওয়ামীলীগ সরকার ভাল থাকলেও ভাল নেই হান্নান তালুকদার।
৫২ বছর রাজনীতি করলেও শয্যাশায়ী ত্রিশালের হান্নান তালুকদারের পাশে কোন নেতা নেই, নেই রাজনৈতিক শান্তনা। তিনি এখন নিঃশ্ব অসহায়। তাঁর শেষ ইচ্ছে বঙ্গকণ্যার সাথে সরাসরি দেখা করা। হয়তো সেই ইচ্ছেও অপূণ রেখেই চলে যাবেন নীরবে।রাজনীতি, আওয়ামীলীগ আর বঙ্গবন্ধুর কথা বললে তিনি আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন আর আজকের রাজনীতির প্রক্ষাপট এবং নেতাদের আচার আচরণে নীরবে চোখের জল ফেলেন।