ফকরুদ্দীন আহমেদঃময়মনসিংহের ত্রিশালের ৬নং ত্রিশাল ইউনিয়নের ছলিমপুর গ্রামের উত্তর পৃর্ব শেষ সিমানায় অবস্থিত পাঁচগুর্ণি বিল। এই বিলটিতে পাঁচটি ছোট বড় খালের মিলন মোহনা ছিল। পাঁচ স্থান হতে সংযোগ এসে এক সাথে যুক্ত হয়েছিল। বর্তমান প্রজন্ম জানেই না ত্রিশালের ইতি কথা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য বিদ্যমান ছিল জন্মস্থানটি যা কালের বিবর্তনে হারিয়েছে এবং যতটুকু অবশিষ্ট্য তাও হারাবার পথে। যে ০৫টি খাল মিলিত ছিল এই বিলে তা নিচে দেয়া হলোঃ
- ১।উত্তর ধানীখোলা সামানিয়া পাড়া দিয়ে একটি খালের সাথে যুক্ত ছিল
- ২। পৃর্ব দক্ষিণ ইন্দাপুড়ি বিল
- ৩।পৃর্ব শুকনি খালের সাথে সংযোগ
- ৪। দক্ষিণ আজারিয়া বাইত হইয়া এক সময়কার আমলে মনিহার নদীর সাথে সংযোগ
- ৫।পশ্চিম উত্তর অলহরী নদীর সাথে যা আজো চলমান।
যদিও বিলটি তার আপন রুপ হারিয়েছে বর্তমানে কৃষকের ফসলের মাঠে পরিনত হয়েছে, এক সময় এই বিল ছিল এই এলাকা মানুষের নৌ-যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।
বয়স্ক মানুষের মুখ থেকে জানাযায়, ব্রিটিশ শাসন আমলেও এই বিলে যাত্রীবাহী বড় নৌকা থাকতো। এলাকা থেকে দুরে কোথাও বিয়ে করাতে হলে, এই বিলে এসে নৌকা চড়ে অলহরী নদী বেয়ে বিভিন্ন জায়গাতে যাওয়া যেত। প্রকৃতি তার আদল পরিবর্তনের সাথে সাথে সব কিছুতেই পরিবর্তনের ছোয়া দিয়ে গেছে। দেশে সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় দেশে নৌ-যোগাযোগ বর্তমানে তেমন নেই। তাছাড়া বর্তমানে নদী খাল আর বিল মানুষের কোদালের আঘাতে দম নিতে পারছে না তাই আগের মত পানি থাকে না। আর এভাবেই আমরা হারাচ্ছি আমাদের পুরোনো জনপদ গুলো।