তারুন্দিয়াকে মাদক-বাল্যবিবাহমুক্ত, শিক্ষাবান্ধব ইউনিয়ন গড়ে তুলতে চায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব

আরিফ রববানী, ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইউনিয়ন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও আন্দোলন সংগ্রামের রাজপথে থাকা সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুব আলম (মাহবুব)। তিনি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে কয়েক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এবার তিনি নৌকা প্রতীক না পেয়ে জনতার দাবীর প্রেক্ষিতে জনগণের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে ১০ নং তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ ডাঃ আবু সাদাত মোঃ সায়েম এর হাতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে পচাত্তর বাংলাদেশ ও এসএফ টেলিভিশন,নতুন বাজার পত্রিকা,আমাদের বাণী,ত্রিশাল প্রতিদিন, সাপ্তাহিক আবির এর পক্ষ থেকে নির্বাচন ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারুন্দিয়া ইউনিয়নে আমি জনগণের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী। আগামী ৭ফেব্রোয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয় লাভ করে আমি এই তারুন্দিয়া ইউনিয়ন কে মাদক-বাল্যবিবাহমুক্ত ও জলাবদ্ধতা মুক্ত পরিচ্ছন্ন শিক্ষাবান্ধব আধুনিক ইউনিয়ন  হিসেবে গড়ে তুলব। গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিয়নের মানুষ খুবই সচেতন। বিগত দিনেও  আমার বিভিন্ন সেবামূলক  কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন এবারও আগামী ৭ ফেব্রুয়ারী  ভোটে তারা আমাকে বিজয়ী করবেন। এলাকাবাসী সুষ্ঠু নির্বাচন চান, আমিও একটি সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। মানুষ যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে  আমি যেখানেই যাচ্ছি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

 ত্রিশাল প্রতিদিন : আপনি নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীর জন্য কী কী করবেন?  এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহবুব আলম (মাহবুব) জানান- আমাকে চেয়ারম্যান  নির্বাচিত করা হলে এলাকাকে মাদক মুক্ত করব এবং রাস্তাঘাট ভাংগাচুড়া থাকায় যে সমস্যা সৃষ্টি হয় তা নিরসন করব। যারা মাদকের ব্যবসা করে এলাকার মুরুব্বিদের সাথে নিয়ে তাদেরকে সচেতন করে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। এই ইউনিয়নকে একটি পরিচ্ছন্ন শিক্ষাবান্ধব আলোকিত এলাকায় পরিণত করব। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  এলাকায় চলমান উন্নয়নকে অব্যাহত রাখবো।

পচাত্তর বাংলাদেশ : মাদকের বিরুদ্ধে আপনার পদক্ষেপ কি হবে : মাহবুব আলম মাহবুব -এই ইউনিয়নটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা । এখানে মাদকের সমস্যা আছে।  এর আগেও এলাকা থেকে মাদক নির্মূলে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কিছু বস্তি এলাকায় এখনো কিছু  রয়েছে। নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার মুরুব্বিদের নিয়ে সর্বপ্রথম মাদকের বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেবো। তাদেরকে বুঝিয়ে ভালো পথে নিয়ে আসব। তাদেরকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। এলাকার তরুণ সমাজ যাতে মাদকের জোয়ারে গা না ভাসায়। তাদের মেধাকে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাজে লাগানোর জন্য তাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করব।

আমাদের বাণী : আপনার এলাকায় প্রধান সমস্যা কী বলে মনে করেন, নির্বাচিত হলে কিভাবে সমাধান করবেন? মাহবুব আলম মাহবুব : বেশি বৃষ্টিপাত হলে এলাকার রাস্তাঘাটগুলো কাঁদায় পরিণত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরে । এছাড়াও বস্তি এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ  রয়েছে। নির্বাচিত হয়ে সর্বপ্রথম এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে রাস্তাঘাটের সমস্যা  নিরসনের উদ্যোগ নেবো।এলাকা থেকে মাদক নির্মূল করব। যারা মাদকের সাথে যুক্ত তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে মাদকের ব্যবসা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনব।

এসএফ টেলিভিশন  : নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আপনি কতটুকু সন্তুষ্ট? মাহবুব আলম মাহবুব: নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আমি এখনো সন্তুষ্ট। এলাকাবাসীও নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে বেশ খুশি। তারা সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে চান। এখনো নির্বাচনী পরিবেশ আমাদের অনুকূলে আছে।  যেখানেই গণসংযোগ যাচ্ছি- এলাকার ভোটাদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এলাকাবাসী এই নির্বাচন নিয়ে খুবই সচেতন। তারা একজন দক্ষ শিক্ষিত জনপ্রতিনিধি চান। সেই বিবেচনায় তাদের সেবার জন্য আমাকে চান এলাকাবাসী।

নতুন বাজার পত্রিকা  : নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে প্রথম পদক্ষেপ কি হবে? মাহবুব আলম মাহবুব: নির্বাচিত হয়ে এলাকার তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং মহিলাদের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করব। এলাকার তরুণদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করব। খেলার মাঠ সংস্কার করব। যাতে প্রতিদিন ইউনিয়নের ছেলেরা খেলাধুলা করতে পারেন। এক সময় তারুন্দিয়া ইউনিয়ন খেলাধুলায় খুবই সমৃদ্ধ ছিল।  এলাকার ছোট ছোট ছেলেরা যাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে পারে সেই ব্যবস্থা করবো।

পচাত্তর বাংলাদেশ  জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী ? মাহবুব আলম মাহবুব : জয়ের ব্যাপারে আমি ইনশাল্লাহ খুবই আশাবাদী। কারণ, গতবার নির্বাচনেও আমি অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেও এলাকার উন্নয়ন কাজ করেছি। আগে ইউনিয়নের অনেক রাস্তা অবহেলিত ছিলো সেগুলো প্রশাসনের সহযোগীতায় করে দিয়েছি । অনেক এলাকায়  পানির সদস্যা ছিল-এসব সদস্যা নিরসন করেছি। করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সামগ্রী এলাকার জনগনের মাঝে বিতরণ করেছি। পাশাপাশি নিজের থেকেও এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। সাহায্য-সহযোগিতা করেছি। আমি যেখানেই গণসংযোগে যাই সেখানে মানুষের জোয়ার দেখতে পাচ্ছি। এলাকার ভোটাররা একজন পরিচ্ছন্ন-দক্ষ-জনপ্রতিনিধি চান। তারা আমাকে খুব আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছেন। এজন্য ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞ। পরিশেষে তিনি সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।