ষ্টাফ রিপোর্টারঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ২য় পর্যায়ে আরো ১৭৬ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঠাই পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘরে। সঙ্গে পাবে যাবতীয় নামজারি খতিয়ানসহ দলিল।
সেমবার (৭আগষ্ট) দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২;প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার উপজেলা টাঙ্কফোর্স কমিটি ও যৌথ সভার মাধ্যমে মোট ৮০০টি পরিবারকে ক’ শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীণ পরিবার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১ম পর্যায়ে ২৫০টি,২য় পর্যায়ে ৭৫টি,৩য় পর্যায়ে (১ম ধাপ) ৬৫টি,এবং ৩য় পর্যায়ের (২য় ধাপ) ৫৫টি, সর্বশেষ গত ২২শে মার্চ চতুর্থ পর্যায়ে প্রথম ধাপে আরো ১১৪ টি পরিবারের নিকট গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এই পর্যন্ত ৫৫৯টি ক’ শ্রেণির ভূমিহীণ ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হয়েছে।একই সাথে উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমির কবুলিয়ত দলিল ও খতিয়ান প্রদান করা হয়েছে।
এখন দ্বিতীয় ধাপে ১৭৬ টি গৃহ প্রধানের মাধ্যমে সর্বমোট ৭৩৫ জান ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম। এছাড়াও আরো ৬৫ টি গৃহহীন পরিবারকে বিভিন্ন গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত করে সদর উপজেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি । ঐসব ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে । আগামী ৯আগষ্ট বুধবার সারাদেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর হস্তান্তর করবেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরই উপকার ভোগীদের নিকট ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে।
‘আশ্রয়ণের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার’ শ্লোগানে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অনুকুলে জমি নেই, ঘর নেই এমন বিধবা, বয়স্ক, দুস্থ এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এসব ঘর দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার ৯আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই শতাংশ জমির দলিলসহ এই ঘরগুলো উপকারভোগীদের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তাহন্তর করবেন। । সারাদেশের ন্যায় ময়মনসিংহ সদরেও ১৭৬ জনকে ঘরের চাবি,জমির কবুলিয়ত দলিল ও খতিয়ান প্রদান করা হবে
তিনি বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীনদের জমি ও গৃহ প্রদান ইতিহাসে প্রথম ও সর্ববৃহৎ উদ্যোগ। রাষ্ট্রের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় তুলে আনার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাসগৃহ নির্মাণ করে জমির চিরস্থায়ী মালিকানা দেয়া হবে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতার প্রমাণ।
এ সময় সদর উপজেলার সহ-কারী কমিশনার ভূমি এইচ এম ইবনে মিজান,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজাসহ উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।