মোঃ নাজমুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ কদমরসুলপুর ময়মনসিংহ বিভাগের গফরগাঁও থানার একটি গ্রামের নাম। নানা রকম দাঙ্গা ও সংঘাতের খবর প্রায়ই আসে এই উপজেলা থেকে তবে এবার ভিন্ন রকম বিভৎস এক ঘটনার খবর এখন মিডিয়া গুলোতে। জঙ্গল থেকে মিলেছে এক কিশোরীর আগুনে পোড়া ক্ষত-বিক্ষত লাশ । নিহত কিশোরীর নাম মারুফা (১৫) খাতুন। তার পিতার নাম মোঃ মজিবুর রহমান। ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়ার তিনঘন্টা পর বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোররাতে কদমরসুলপুর গ্রামের মাইজপাাড়ার এলাকার নির্জন চৌরাভিটা জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশে হাত ও পায়ে বাধাঁর দাগ ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহতের পিতা মুজিবুর রহমান বলেন, বরাবরেই মতই তার মেয়ে মারুফা মঙ্গলবার রাতের খাবার শেষে তার ছোট বোনর সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে মারুফা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে না আসায় ছোট মেয়ে ঘরে ফিরে না আসার খবর তার বাবা মাকে জানায়। সে (মারুফার পিতা মুজিবুর রহমান) তার দুই ভাইকে ( মারুফার চাচা) নিয়ে রাতেই মারুফাকে খুঁজতে বের হয়।
ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে বাড়ি থেকে ৪০০ গজ দুরে নির্জন চৌরা ভিটা জঙ্গলে তার মেয়ের আগুনে পোড়া ক্ষত বিক্ষত লাশ দেখতে পায়। কিশোরী মেয়ের আগুনে পোড়া বিভৎস লাশ দেখে হতবিহবল পিতা তার গায়ের চাদরটি দিয়ে মেয়ের শরীর ঢেকে দেয়। লাশের পাশেই মিলেছে বিছানার চাদর ও একশ গজ দুর থেকে পুরুষের একজোড়া জুতা পুলিশ উদ্ধার করে। সিআইডি পুলিশের ক্রাইমসিনের সদস্যরা জায়গাটি ঘিরে রেখেছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।
গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, লাশটি আগুনে পোড়ানো ছিল। হাত ও পায়ে বাঁধার দাগ ছিল। তদন্ত ছাড়া হত্যার কারন বলা যাচ্ছে না।