কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি, চলছে চতুর্থ দিনের কারফিউ

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে । গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রজ্ঞাপন অনুমোদন করেছিলেন।

“সরকার সর্বোচ্চ আদালতের রায় প্রতিপালন করেছে। রায়ের কিছুই পরিবর্তনের ক্ষমতা আমাদের নেই। তারা যেভাবে দিয়েছেন আমরা সেভাবেই প্রতিপালন করেছি। এর বাইরে যাওয়ার কোন অভিপ্রায়ও আমাদের নেই,” এক সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন আইনমন্ত্রীআনিসুল হক।

এ সময় তার সাথে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতও উপস্থিত ছিলেন।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সাধারণ বা মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে।

এর আগে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে কোটা কেমন হতে পারে তার একটি নির্দেশনা দিয়েছিলো। তবে ওই রায়ে বলা হয়েছিলো যে প্রয়োজন হলে সরকার চাইলে এটিকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা পরিমার্জন করতে পারবে।

গত ৫ই জুন হাইকোর্ট বিভাগ কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র বাতিল করে দিয়েছিলো। এর পরে কোটা সংস্কারের দাবিতে নতুন করে শিক্ষার্থী আন্দোলন গড়ে ওঠে।

এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ব্যাপক সহিংসতায় তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত দেড়শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সরকারি বেসরকারি বহু স্থাপনায়, যার মধ্যে মেট্রো রেলের স্টেশন, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজাও ছিলো।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার রাত থেকে সরকার দেশব্যাপী কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করেছে, যা এখনো বহাল আছে।

তথ্যসূত্র-বিবিসি