ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে স্ত্রী-সন্তান ও এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী উপপরিদর্শক সৌমেন রায়(এএসআই) বিরুদ্ধে। রোববার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার পিটিআই সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ,আসমা খাতুন(২৬) ও তাঁর ছেলে রবিন ( ৬ ) এবং শাকিল (২৮) নামের এক যুবক। নিহতদে তাঁদের সবার বাড়ি কুমারখালীর নাটুরিয়া গ্রামে। শাকিল বিকাশের এজেন্টের কাজ করতেন। এএসআই সৌমেনের বাড়ি মাগুরার শালিখা উপজেলার কসবা গ্রামে। নিহত আসমার সাথে পাঁচ বছর আগে এএসআই সৌমেনের বিয়ে হয়। রবিন আসমার দ্বিতীয় স্বামীর সন্তান। শাকিলের সাথে আসমার পরকিয়া এমনটাই ধারণা করছে সবাই।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার পিটিআই সড়কের কাস্টমস মোড়ে আসমা তাঁর সন্তান এবং শাকিল দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ সেখানে সৌমেন উপস্থিত হয় এবং প্রথমে আসমার মাথায় পরে শাকিলের মাথায় গুলি করেন। তা দেখে ভয়ে শিশু রবিন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকেও গুলি করা হয়। আশপাশের লোকজন এ অবস্থা দেখতে পেয়ে সৌমেনকে ধরতে গেলে সে দৌড়ে তিনতলা ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন।
এরপর লোকজন ওই ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।। গুলিবিদ্ধ তিন জনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালের চিকিৎসক আসমাকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং অপারেশন টেবিলে গুলিবিদ্ধ শাকিল ও শিশু রবিনের মৃত্যু হয়।
এএসআই সৌমেন রায় খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত। পুলিশের ধারণা, এএসআই সৌমেনকে দেওয়া পিস্তল দিয়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ওই পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান এ মর্মান্তিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।