সরকারের পদত্যাগ একদফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ইস্যুতে গড়ে ওঠা এই প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একদফা দাবির ঘোষণা দেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহীদ মিনারে সমবেত ছাত্র-জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দেন নাহিদ। এর আগে জনসমুদ্রে পরিণত হয় কেন্দ্রীর শহীদ মিনার এলাকা। স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। একদফা দাবি পেশের পর তারা মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার থেকে শাহবাগের দিকে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে। আর এক মিনিটও এই সরকার থাকবে না। একদফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ।
আরও বলেন, বর্তমান সরকারের নির্দেশে নির্বিচারে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মরণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত করেছে। নারী-শিশু-ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক কেউ এই গণহত্যা থেকে রেহাই পাননি। সরকার এই হত্যাযজ্ঞের বিচার করার পরিবর্তে নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে। ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক-মজুরসহ আপামর জনগণ মনে করছে, এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ বিচার ও তদন্ত সম্ভব নয়। তাই আমরা স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি ঘোষণা করছি।সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় সরকার গঠনের দাবিও তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেয়ার আল্টিমেটামও দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবিতে রোববার (৪ আগস্ট) থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে বলে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। গতকাল শুক্রবারই শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ কর্মসূচি দেয়ার কথা জানায়।