মেহেদী জামান লিজন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এএমএম শামসুর রহমান প্রায় ছয় মাস যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে আসেন না।
ট্রেজারারের অনুপস্থিতেই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দপ্তরের কাজ। গত বছরের অক্টোবরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত উপাচার্য ও ট্রেজারার এএএম শামসুর রহমানের দুর্নীতি ও অর্থ কেলেঙ্কারি,ট্রেজারার দুর্নীতি মিডিয়াতে বলায় শিক্ষককে শোকজ ও রাষ্ট্রপতিকে মামা পরিচয় দেওয়ায় অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপে ক্যাম্পাসে আসতে পারেননি তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন দুই দফায় শোকজ নোটিশ দিয়েছেন ট্রেজারার এএমএম শামসুর রহমানকে।
গত বছরের ৬ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষার একটি মিটিং এ যোগদান করতে আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ট্রেজারার শামসুর রহমানকে লাঞ্চিত ও গাড়ি ভাঙচুর করলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকেই পুলিশি নিরাপত্তায় ক্যাম্পাস ছাড়েন তিনি।
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে গত নভেম্বরে নতুন উপাচার্য প্রফেসর ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান যোগদান করলেও ক্যাম্পাসে আসেননি ট্রেজারার এএমএম শামসুর রহমান।
এ বিষয়ে ট্রেজারার প্রফেসর এ. এম. এম. শামসুর রহমান বলেন অফিসে না গিয়েও এই বিভাগে কাজের সুযোগ আছে তাই বাসায় বসেই কাজ সম্পন্ন করছি। তাছাড়া আমি যে কক্ষে বসি তা বর্তমানে উপাচার্য ব্যবহার করছেন কারণ উপাচার্যের কক্ষের সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কার কাজ শেষ হলেই দপ্তরে আসবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত)কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ূন কবীর জানান, ট্রেজারার বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাসায় বসেই কাজ করছেন।