আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের হয়ে নির্বাচন করছিলেন কণ্ঠশিল্পী । তবে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, তার এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ নানান অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন তিনি। আজ রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ভোট বর্জন করেন তিনি।
এ বিষয়ে কনক চাঁপা বলেন, সত্যি কথা বলতে এই ভোটের পরে আমি খুবই বিক্ষুব্ধ অবস্থায় আছি। কারণ এটা আসলে কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আমার প্রত্যেকটা কেন্দ্রে এজেন্ট পাঠিয়েছি কিন্তু কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আগের রাতেই ভোট দেয়া হয়ে গেছে। তারা নিজেরা নিজেরাই ভোট দিচ্ছেন। আর কাউকে ভোট দিতে দিচ্ছেন না। সেইসাথে তারা ওপেনলি বলছে ভোট দিলে নৌকাতেই দিতে হবে, অন্য কোথাও দেওয়া যাবে না। এটা আসলে প্রহসনের ব্যাপার, এটা প্রহসনের নির্বাচন। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় কথা যেটা আমি বিশ্বাস করি ‘সব হেরে যাওয়ায় হেরে যাওয়া না, সব জিতে যাওয়ায় জিতে যাওয়া না।’ আওয়ামী লীগ এতদিন ধরে এত কাজ করলেন, উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিলেন সারাদেশকে। সেখানে এত খেলার তো কোন দরকার ছিলো না। তারা যদি এতই জনপ্রিয় হন তাহলে তো জনগণের ভোটে এমনিই নির্বাচিত হতেন। সেখানে এত নিকৃষ্ট খেলার কোন দরকারই ছিলো না। সেখানে নিজেকেই তারা পরাজিত করলেন। সমস্ত বাংলাদেশ, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনা প্রশাসনকে নিয়ে পরাজিত করলেন তারা।
পোলিং এজেন্টদের মারধর, ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, কোনো কোনো কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে আজ রবিবার দুপুরে ভোট বর্জন করেছেন ঢাকা-১৭ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আন্দালিভ রহমান পার্থ।
পার্থ বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভোট বর্জন করছি। ৬০-৭০ কেন্দ্র ঘুরেছেন দাবি করে বলেন, সব কেন্দ্রেই আমার এজেন্ট ও সমর্থক ও ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটাই প্রমাণ করে দলীয় সরকারে অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।
তবে তিনি সকালে ভোট দিয়েছেন বলে জানান। এই আসনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের চিত্র নায়ক ফারুক। তিনি আকবর হোসেন পাঠান নমে ভোটের মাঠে নির্বাচন করছেন।