এবার সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ!

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক: এবার পিরোজপুরে লোভ দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ ও পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঠবাড়িয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মো. বাচ্চু মিয়া আকন বলেন, এটা স্রেফ প্রতারণার কৌশল। সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার সনদ বলে কিছু নেই। উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের পাঁচশতকুঁড়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম আকন অভিযোগ করেন, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের পশুরিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন খান এলাকায় সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও পরিচয়পত্র বিক্রি করছেন।

“এই সনদ ও পরিচয়পত্র থাকলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে বলে লোভ দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।” আব্দুস সালাম নিজেও ইসমাইলকে টাকা দিয়েছেন দাবি করে বলেন, “ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে আমার ৫০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। প্রথম কিস্তি বাবদ আমি তাকে ৩১ হাজার টাকা প্রদান করেছি। আর ১৯ হাজার টাকা পরিশোধের পর সনদ ও পরিচয়পত্র পাওয়ার কথা। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম এটা ভুয়া।” তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।

ওই এলাকার লোকজন বলেছে, ২০ থেকে ২৫ এভাবে প্রতারিত হয়েছেন। প্রদত্ত সনদ স্বাক্ষরকারীর জায়গায় ‘সরদার গোলাম মোস্তফা’ লেখা থাকলেও এলাকাবাসী তাকে শনাক্ত করতে পারেনি। অভিযোগ সম্পর্কে ইসমাইল হোসেন বলেন, “এসব আপনাকে কে বলেছে? আমি এসব করিনি। আমি এখন একটু ব্যস্ত আছি।” তিনি আর কোনো কথা বলতে চাননি। কমান্ডার বাচ্চু মিয়া এ বিষয়ে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

ভুক্তভোগীদের মুক্তিযোদ্ধা সংসদে আসতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে তিনি জানান। মঠবাড়িয়া থানার ওসি কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করা হবে।”