ত্রিশাল প্রতিদিন ( মোমিন তালুকদার):: আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেনের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ “ঋণ খেলাপির দায়ে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মতিনের প্রার্থিতা স্থগিত করে আদালত।
হাই কোর্ট বন্ধ থাকায় চেম্বার জজ আদালতে আঃমতিন সরকার রিটের জবাব দিয়ে আপিল করে ।সে সময় বাদী পক্ষের কোন আইনজীবী ও চিফ জাসষ্টিস না থাকায় চেম্বার জজ ৪ এপ্রিল হাই কোর্টের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে এর শুনানি করবে বলে জানায়।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে দু’পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
মতিন সরকারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ, অ্যাডভোকেট কাউসার। ইকবাল হোসেনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমির উদ্দিন মানিক।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ত্রিশালের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন সরকারের ছেলে শহীদুল ইসলাম দ্য ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ময়মনসিংহ শাখা থেকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট দুই কোটি টাকা ঋণ নেন। এ ঋণের জামিনদার হন তার বাবা আবদুল মতিন।
গত বছরের ৭ অগাস্টের মধ্যে ঋণ পরিশোধের শর্ত থাকলেও তা পরিশোধ করা হয়নি। ফলে সুদ-আসলে ২ কোটি ২৯ লাখ ৮১ হাজার ২৯৭ টাকা হয়েছে যা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধিত না হওয়ায় ঋণ খেলাপির অভিযোগ এনে গত ২০ মার্চ উচ্চ আদালতে রিট করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন।
ইকবাল হোসেনের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শুনানির পর ২৭ মার্চ ছেলের ঋণ খেলাপির দায়ে বাবা আবদুল মতিন সরকারের প্রার্থিতা বাতিল ও চেয়ারম্যান পদে ৬ মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ।
আদালতের রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ২৮ মার্চ আব্দুল মতিন সরকার চেম্বার জজ আদালতে বিচারপতি ইমান আলীর বেঞ্চে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানির দিন ধার্য করে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান সারওয়ার জাহান জানান, আদালতের এ রায়ের পর ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আর কোনো বাঁধা নেই। নির্বাচন কমিশন সুবিধামত সময়ে স্থগিত হওয়া এ উপজেলায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ উচ্চ আদালতের নির্দেশে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ৩১ মার্চ এ উপজেলার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।