বাংলাদেশের প্রতিদিনের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নেই,তবে রয়ে গেছে তার বহু কৃতকর্ম, যার ফলে প্রতিটি বাংলাদেশিকে ভুগতে হচ্ছে কিংবা হবে। এই ভুগান্তী তালিকায় সবার আগে থাকবে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে করা বিদ্যুৎচুক্তি। যেই চুক্তির জন্যে এই ভারতীয় কোম্পানির কাছে বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি বাংলাদেশের হাইকোর্ট এই চুক্তি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের কথা বলছে। দুই মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন পেশ করার কথাও বলা হচ্ছে।
এই যখন প্রেক্ষাপট, তখন একদম সূচনাবিন্দু থেকে যদি এই চুক্তির গতিপ্রকৃতি লক্ষ্য করা যায় তাহলে কীভাবে, কাদের চাপে এই চুক্তি কার্যকর হলো, এই চুক্তির বাস্তবায়নে ভারত ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ঠিক কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন, এই প্রকল্প কার্যকর করতে কোন কোন নিয়মবিধি লঙ্ঘন করা হল, এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। একই সঙ্গে স্পষ্ট হবে কীভাবে বাংলাদেশসহ আরও নানা দেশে আদানি উপনিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে।
২০১৫ সালের ০৭ই জুন বাংলাদেশের মানুষ প্রথম জানতে পারেন আদানি ও আম্বানি গোষ্ঠী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চলেছে। দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত “Reliance, Adani to invest $5.5b” শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই দুই গোষ্ঠী সর্বমোট ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের জন্যে ৪৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এই মর্মে ঢাকার বিদ্যুৎভবনে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ডের তদানীন্তন সচিব জাহুরুল হক, আদানি পাওয়ার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিনীত এস জইন ও রিলায়্যান্স পাওয়ার লিমিটেড’-এর সমীর কুমার গুপ্ত। ওই চুক্তি যখন স্বাক্ষরিত হচ্ছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বাংলাদেশে উপস্থিত ছিলেন। নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে গৌতম আদানি বা তার কোম্পানির কোনো প্রতিনিধি কোনো গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করছে, এমন ঘটনা নজিরবিহীন কিংবা কাকতলীয় নয়।
২০১৫ সালের ২৪ জুন টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে গৌতম আদানি নিজেই জানিয়েছিলেন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপে মোদির সফরসঙ্গী ছিলেন তিনি। আদানি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সম্পর্কের কাজের আলোচনা পরে করা যাবে।
তবে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি হতে না হতেই আদানি ভারতে বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করা শুরু করে। ০৬ মে ২০১৬ তারিখে ভারতের ঝাড়খণ্ডে সরকারের কাছে ওই রাজ্যের গোড্ডায় দশটি গ্রামে মোট ২ হাজার একর জমি চায় আদানি পাওয়ার। সরকারের তরফে ছয়টি গ্রামের ৯১৭ একর জমি তাদের দেওয়া হয়। এই প্রকল্প গতি পায় ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর। সেই সময়ে হাসিনা-মোদির মধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে প্রত্যক্ষ চুক্তি হয়।
শুধুমাত্র বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্যই গোড্ডায় জমি অধিগ্রহণ করা শুরু হয়। সেই সময় বহুফসলি উর্বর জমি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল গোড্ডার সাঁওতাল জনজাতিকে। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর ইন্ডিয়াস্পেন্ড.কম ওয়েবসাইটে চিত্রঙ্গদা চৌধুরীর প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়, আদিবাসীরা আদানি প্রতিনিধিদের হাতেপায়ে ধরেছেন তাঁদের জমি না নেওয়ার জন্য। তাতে কাজ হয়নি; বরং অর্থ দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছে আদিবাসীদের। তাঁদের শস্য নষ্ট করা হয়েছে, পিতৃপুরুষের ভূমি থেকে রাতারাতি বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে, এককালীন টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি যেই কবরে আদিবাসীদের প্রিয়জনরা শায়িত, নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে তা খুঁড়তেও দ্বিধা করেনি আদানিরা। মালি ও গাঙ্গতা — এই দুইটি গ্রাম দখলের পর সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবাও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। গ্রামের বাসিন্দারা সে সময়ে রাতে স্রেফ বাঁচার জন্যেই ৫০টাকা লিটার দরে কেরোসিন কিনতে বাধ্য হয়েছিলেন। এসব অভাব-অভিযোগের কথা তাঁরা গ্রামসভায় জানিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের তদানীন্তন রাজ্যপালকে। রাজ্যপালের হাতে জনজাতির জমিরক্ষার বিশেষ সাংবিধানিক ক্ষমতা ন্যস্ত রয়েছে। কিন্তু সেদিন তিনি চুপ ছিলেন। সেদিনের সেই রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু পরবর্তীতে ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন।
শুধু গোড্ডাতেই নয়, আদানিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষদের বাস্তুচ্যুত করার অভিযোগ বারবার উঠেছে। কেরালা রাজ্যের ভিজিঞ্জমে আদানির বন্দর তৈরির সময়ও একই ভাবে স্থানীয় প্রান্তিক খ্রিস্টান মৎস্যজীবীদের ঘর হারাতে হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের একদল কৃষক হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ ছিল, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে আদানি গোষ্ঠী তাদের চাষের জমির উপর দিয়ে রেল লাইন নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বারবার প্রতিরোধ গড়ে উঠলেও শেষ হাসি হেসেছে আদানিরাই।
আদানির গোড্ডা প্রকল্প জনজাতির স্বার্থ-বিরোধী তো বটেই, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য আইনের তোয়াক্কা করা হয়নি। বরং আদানি গোষ্ঠীকে বহু সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় স্পষ্ট বলেছিল, ভারতের বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত হলেই প্রতিবেশী দেশে বিদ্যুৎ রফতানি করা যাবে। বলাই বাহুল্য, এই প্রকল্প যখন হয়েছে তখন ভারত বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত দেশ ছিল না। তাছাড়া ঝাড়খণ্ড সরকারের ২০১২ সালের বিদ্যুৎ নীতি অনুযায়ী, রাজ্যে অবস্থিত কোনো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট উৎপাদনের ২৫ শতাংশ রাজ্য সরকারকে দিতেই হবে। অথচ বাস্তবে দেখা গেল যে, আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশকে ১০০% বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুমতি পেয়ে গেল। তবে আদানিরা ২০১৬ সালে ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে যে, ২৫ শতাংশ বিদ্যুতের সমান শক্তি সরকারকে দেওয়া হবে ভিন্নভাবে। সেই বিকল্প পথটা কী, আজ পর্যন্ত বোঝা যায়নি। অথচ দেখা গেল এতগুলি বছর পেরিয়ে আজ যখন বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি ভেঙে পড়ার মুখে, তখন সেই ঝাড়খণ্ডের কাছেই বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চাইছে আদানি গোষ্ঠী।
একটি স্পেশাল ইকনোমিক জোন বা বিশেষ শিল্প অঞ্চলে ছোট, মাঝারি ও বড় শিল্পের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলাই দস্তুর। দেশের সামগ্রিক বাণিজ্যিক উন্নয়ন সম্ভবনার কথা মাথায় রেখে বাণিজ্যগোষ্ঠীগুলিকে এমন জায়গায় বন্দোবস্ত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নানা সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে দেখা গেল, এককভাবে আদানি গোষ্ঠীর জন্যেই গোড্ডা বিশেষ আর্থিক করিডর হিসেবে চিহ্নিত হল। অর্থাৎ আদানি গোষ্ঠী যেন বিপুল কর ছাড় পায়, তার ব্যবস্থা করা হল। দেখা যায়, এই জায়গাটিকে বিশেষ আর্থিক করিডর ঘোষণার পরই আদানি গোষ্ঠী বিদেশ থেকে নানা যন্ত্রপাতি আনতে শুরু করে। ফলে পণ্য ও পরিষেবা কর সহ আমদানি শুল্ক সরাসরি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আদানি গোষ্ঠীকে করে দেওয়া হয়েছে বললে অত্যুক্তি হবে না।
অনেকেই আজও জানেন না যে, গোড্ডা প্রকল্পের জন্য জ্বালানি এসেছে অস্ট্রেলিয়ার খনি থেকে। ওই প্রতি টন কয়লার জন্য ভারত সরকার যে ক্লিন এনার্জি কর ধার্য করেছে, তা হিসাব করলে আগামী ২৫ বছরে আদানিদের কয়লা বাবদই শুধু ১ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে। একই ভাবে কিন্তু গুজরাটেও অনৈতিক ভাবে আদানিরা ৫০০ কোটি রুপির আমদানি শুল্ক ফেরত পেয়েছে, এমন অভিযোগ উঠেছে।
দেশের মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা, কর ফাঁকি দেওয়া, পরিবেশ ধ্বংস করা, অনভিপ্রেত সুবিধে আদায়ের অভিযোগে অভিযুক্ত আদানিদের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎচুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ কী ভাবে বিপন্ন হয়েছে, তা তুলে ধরা যাক এবার।
খুব স্পষ্ট ভাবে বললে, এই বিদ্যুৎ ভারতের অন্য কেন্দ্র থেকে কিনলে বাংলাদেশকে যে দাম দিতে হতো, তার তিনগুণ দামে কিনতে বাধ্য করা হয়েছে বাংলাদেশকে। এই বিদ্যুতের দাম বাংলাদেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের দামের প্রায় দেড়গুণ। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়বদ্ধতা হিসেবে বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত অর্থ প্রদান করে যেতে হবে।
শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। গুজরাট দাঙ্গার পর মোদির কাছ থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেন ভারতের তামাম শিল্পপতিরা। মোদীর সেই দুঃসময়ে এগিয়ে আসেন গৌতম আদানি। তৈরি হয় ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ প্রকল্প। তারপর দেশে-বিদেশে এই গোষ্ঠীকে নানা সুযোগ-সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েলের হাইফা বন্দরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পায় আদানিরা। অনেকেই মনে করেন, এই কারণেই ভারতের দীর্ঘদিনের ফিলিস্তিন-পন্থী পররাষ্ট্র নীতি এখন ভিন্ন।
ইজরায়েলের বৃহত্তম অস্ত্র প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অস্ত্র তৈরি করছে আদানিরা। গ্রিস, ইন্দোনেশিয়াতেও একই ভাবে আদানি গোষ্ঠীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় নিজেদের সম্প্রসারিত করেছে এই গোষ্ঠী। ২০১৯ সাল থেকে কলম্বো বন্দরে ইস্ট কন্টেনার টার্মিনাল তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিল আদানি গোষ্ঠী। শ্রীলঙ্কা জুড়ে তার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিবাদ হয়। পিছু হঠতে বাধ্য হয় শ্রীলঙ্কা সরকার। বদলে ওয়েস্ট কন্টেনার টার্মিনাল গড়ার প্রস্তাব পায় আদানিরা। সিলন ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান দাবি করেছিলেন এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যে নরেন্দ্র মোদি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। পরে অবশ্য ওই দাবি তিনি প্রত্যাহার করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কথা মাথায় রেখে অস্ট্রেলিয়ার কারমাইকেল খনি থেকে কয়লা উত্তোলন নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। লাগাতার কার্বন ফুটপ্রিন্ট বৃদ্ধি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন সেখানকার পরিবেশপ্রেমী মানুষ।
এখন প্রশ্ন ওঠে, কেন এই আদানি গোষ্ঠীকে গিললেন শেখ হাসিনা? সব জেনেশুনে বাংলাদেশকে কেন এমন ঋণের তলায় ফেললেন তিনি? তিনি কি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট চাক্ষুষ করেননি? কেন চুক্তিটি সংশোধন চাইলেন না তাঁর অনুগতরা? কেন তার ও নরেন্দ্র মোদির বোঝাপড়ার দায় নিতে হবে সাধারণ ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের? যারা আওয়ামী লীগের সমর্থক তারা এই কাণ্ডের স্বপক্ষে কী যুক্তি সাজাবেন? আদানিকে সামনে রেখে মোদি সরকারের উপনিবেশ-বিস্তার নীতিতে যেমন ভাবে ধরা দিয়েছে কেনিয়া, তাঞ্জিনিয়া, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া — ঠিক তেমন ভাবেই কি বাংলাদেশকে এই প্রকল্পের অংশ হতে বাধ্য করা হয়েছিল?
আমেরিকার বিচার মন্ত্রণালয় ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সম্প্রতি গৌতম আদানি ও সাগর আদানির বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি ও একটি দেওয়ানি মামলা করে বলছে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিনিময়ে সরকারি কর্মকর্তাদেরকে ২২ হাজার কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এখন প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও কি এমনই কিছু ঘটেছিল? বাংলাদেশের মন্ত্রী-সচিবরা কি কোনো দেনাপাওনায় জড়িয়েই এই ধোঁয়াটে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন? কেন জনস্বার্থ-বিরোধী, পরিবেশ ধ্বংসকারী, আইনকানুনের তোয়াক্কা না করা একটি বাণিজ্য গোষ্ঠীর আগ্রাসন টের পেয়েও চুপ ছিল দুই দেশের সংবাদমাধ্যম? এই দেনাপাওনায় আমজনতার যে ক্ষতি হল, তার দায় কে নেবে? আজ পালিয়ে বেড়ালেও, কাল এসব প্রশ্নের উত্তর শেখ হাসিনাকে দিতেই হবে।
অর্ক দেব ভারতের কলকাতা-ভিত্তিক একজন সাংবাদিক।