আগামীকাল বিক্ষোভ ডেকেছে দুই সাংবাদিক সংগঠন

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: দেশের ৫৪টি নিউজপোর্টাল বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র নেতৃবৃন্দ।

এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বিটিআরসিকে দিয়ে অনেকগুলো মূলধারার পাঠকপ্রিয় নিউজপোর্টালসহ ৫৪টি নিউজসাইট বন্ধের ঘটনাকে স্বৈরাচারী, হঠকারী ও ফ্যাসিবাদী পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।

বিএফইউজে’র দফতর সম্পাদক আবু ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় আজ এসব তথ্য জানানো হয়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার গণমাধ্যমের কন্ঠরোধের খেলায় মেতেছে বলে অভিযোগ করে তাঁরা বলেন, এটি ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

বিএফইউজে’র সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ এবং ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রদত্ত বিবৃতিতে অবিলম্বে এসব সাইটসহ বন্ধ সকল গণমাধ্যম খুলে দিয়ে প্রচারমাধ্যমে ভারসাম্য সৃষ্টি এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

তাঁরা জানান, এসব গণমাধ্যমে কর্মরতদের মধ্যে ডিইউজে, ডিআরইউ ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যও রয়েছেন। ঢাকার বাইরে কর্মরতদের মধ্যে বিএফইউজে’র বিভিন্ন অঙ্গ ইউনিয়নের অনেক সদস্য আছেন। কী কারণে এসব নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে তার কোন কারণও উল্লেখ করা হয়নি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “কোন নিউজপোর্টাল যদি অপসাংবাদিকতা করে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আমরা বিরোধী নই। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত কোন কারণ ছাড়াই ঢালাওভাবে কেবলমাত্র ভিন্নমতের কারণে কোন সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচায়ক। সরকারের পক্ষে যেসব নিউজ পোর্টালে ভুয়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর ও গুজব ছড়ায় তার অনেকগুলো এখনো সদর্পে চালু রয়েছে। সরকারের অপছন্দের কিংবা বিরোধী দলের সংবাদ প্রচার করার কারণে ৫৪টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এর আগেও একযোগে ৩৫টি নিউজপোর্টাল বন্ধ করেছিল বর্তামন সরকার। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ আওয়ামী লীগ সরকারের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার হরণকারি সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য গণমাধ্যমের কন্ঠ স্তব্ধ করে দিচ্ছে। ভিন্নমত পোষণের কারণে একের পর এক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টকে র‌্যাব-পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে গোটা গণামাধ্যমজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে সরকার একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়।”

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বন্ধ সকল গণমাধ্যম খুলে দেয়া ও সাংবাদিক দলন-নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানান।

এর প্রতিবাদে এবং সকল গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবিতে আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএফইউজে ও ডিইউজে’র উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সকলকে এ বিক্ষোভ সফল করার জন্য বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ আহবান জানিয়েছেন।