ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: আসন বণ্টন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ওপর চাপ বাড়ছে জোটের শরিক দল ও সম্ভাব্য নতুন মিত্রদের। আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে দলীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করলেও গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সম্ভাব্য মহাজোট ও ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করতে পারেনি। এ কারণে দলীয় প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করতে পারছে না ক্ষমতাসীন দল। আর আসন বণ্টন নিয়ে শরিকদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সূত্রে জানা গেছে।
তাই বারবার সংবাদ মাধ্যমে তালিকা প্রকাশ হলেও তাতে নেই ত্রিশাল আসনের নাম।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, বর্তমানে যেসব আসনে মিত্র দলগুলোর এমপি আছেন আসন্ন নির্বাচনেও শুধু সেসব আসনই ছাড় দিতে চায় ক্ষমতাসীন দল। সর্বোচ্চ ৭০টি আসন মিত্রদের ছাড়তে রাজি আওয়ামী লীগ।
২০০৯ সালে বহিরাগত (কুমিল্লার) ব্যবসায়ী রেজা আলী ও ২০১৪ সালে দৃশ্যপট পাল্টে এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এম.এ হান্নানকে নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগ। বছর খানেক পর এম.এ হান্নান ৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে কারা বরণ করেন।এর পর থেকে এ আসনটি উন্নয়ন হীন এবং ব্যর্থ আসনে পরিনত হয়। এ আসনটি আবার তাদের দিতে চায় আওয়ামী লীগ । তাই নাটকিয়তার আশ্রয় নিতে পিছপা হচ্ছেনা তারা।সাবেক সংসদ রেজা আলী থেকে ত্রিশাল তার আপন উন্নয়ন হারাতে বসেছে। বহিরাগতদের চরনভূমি এখন ত্রিশাল। বারবার আন্দলোন করেও বহিরাগতদের আনাগোনা ফিরাতে পারছে না ত্রিশাল বাসি।আবার সেই বহিরাগতরা সক্রিয় ।ত্রিশালে ১৭ বছরের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে আওয়ামীলীগের এ দূর্গে স্থানীয় আওয়ামীলীগের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিক্ষিত জনবান্ধন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়নের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত এমপি হিসেবে দেখতে চায় ত্রিশালবাসী।
ত্রিশাল তার আপন গতি ফিরে পেতে চাইছে। আবার যদি এ ভূল করে ক্ষমতাসীন দল তবে এ আসনটি হারাতে হবে আওয়ামী লীগকে ।এটা ধারনা নয় পরিস্কার ভাবে বলে দিচ্ছে ত্রিশালের জনগন। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকে জানা যায় এবার জাতীয় পার্টি থেকে ফুলবাড়িয়া থানার কে আর ইসলাম নামক, এক জন ডাক্তারকে মনোনয়ন দিতে পারে।এ সংবাদে ত্রিশাল বি এন পি তে আনন্দের হাওয়া বইছে।
এ খবর গন মাধ্যমে আশার পর হতাশ আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষ।